শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০১৩

Joke 8 সবচেয়ে কাছের বন্ধু


হাটে গাই, পায়েস খাই

গোপাল ভাঁড়ের ভাইপো আর তার স্ত্রীর মধ্যে ভীষণ ঝগড়া বেধেছে। মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে গেলেন গোপাল। বললেন, ‘বলি কী নিয়ে এত ঝগড়া হচ্ছে শুনি?’
গোপালের ভাইপো বলল, ‘দেখুন তো কাকা, আমি আগামী বছর একটা দুধেল গাই কিনব বলেছি। আর আমার স্ত্রী বলছে, সে নাকি গাইয়ের দুধ দিয়ে পায়েস রাঁধবে।’ ভাইপোর স্ত্রীও সমান তেজে চেঁচিয়ে উঠল।
দু হাত তুলে দুজনকে থামতে ইঙ্গিত করে বললেন গোপাল, ‘আস্তে আস্তে! গাধা নাকি তোরা?’
দুজন একটু ঠান্ডা হলে গোপাল ভাইপোকে বললেন, ‘আরে গাধা, তোর বউয়ের পায়েস রাঁধা তো পরের কথা। আমি যে বাড়ির পেছনে সবজির বাগান করেছি, সেসব যে তোর গরু খাবে, সে খেয়াল আছে?’



সবচেয়ে কাছের বন্ধু

বলুন তো, কে আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধু?
যে আপনাকে কখনো জেলখানায় আটক হতে দেবে না, সে; নাকি আপনি কখনো আটক হলে যথাসাধ্য চেষ্টা করে আপনাকে ছাড়িয়ে আনবে, সে?
দুজনের কেউই না। সবচেয়ে কাছের বন্ধু সে যে, জেলখানায় আপনার পাশে বসে থাকবে, আর বলবে, ‘খুব মজা হইছিল, নারে দোস্ত!’

Joke 7ছোট করে আঁকতে হবে


ছোট করে আঁকতে হবে

এক ধনাঢ্য ব্যক্তি একবার পাবলো পিকাসোকে মোটা অঙ্কের টাকা দিলেন তাঁর স্ত্রীর ছবি এঁকে দেওয়ার জন্য। পিকাসো এঁকে দিলেন। ছবি দেখে ধনাঢ্য ব্যক্তিটি খুবই বিরক্ত হলেন এবং বললেন, ‘এটা মোটেও আমার স্ত্রীর মতো হয়নি।’
পিকাসো বললেন, ‘তা হলে কেমন আঁকা উচিত ছিল?’
ধনাঢ্য ব্যক্তি পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করলেন এবং তাঁর স্ত্রীর একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবি বের করে দেখালেন। পিকাসো ছবিটি ফিরিয়ে দিতে দিতে বললেন, ‘হু, ছোট করে আঁকতে হবে, তাই তো?!’

joke 5 গরুর বাসা


গরুর বাসা

ছুটির দিন। স্কুল থেকে সবাই দলবেঁধে বেড়াতে গেছে শহরের পাশেই একটা বনে। বনের ভেতর দীর্ঘক্ষণ ঘোরাফেরা করেও কোনো পশুপাখির দেখা পাচ্ছিল না স্কুলপড়ুয়ারা। মজার কিছু না পেয়ে ওরা হতাশ।
বন্ধুদের চেয়ে একটু দূরে সরে গিয়েছিল কাশেম। ঝোপের পাশে দুটো দুধের বোতল দেখে চিৎকার করে উঠল সে, ‘দেখো দেখো! একটা গরুর বাসা পেয়েছি!’


Joke 4


ছুটিতে আমেরিকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন জলিল। ফিরে আসার পর বন্ধু শফিক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিরে, আমেরিকানদের কথা বুঝতে কোনো সমস্যা হয়নি তো?’
জলিল: আমার কোনো সমস্যা হয়নি। সমস্যা যা হওয়ার ওদের হয়েছে!


Joke 3


কুসঙ্গে পড়ে এক বালক পিতা-মাতাকে খুন করেছিল, স্রেফ টাকা পয়সা হস্তগত করার জন্যে। বালকের দাদা মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় সুবিচারের আর্জি পেশ করল। বিচারে তার অপরাধ যখন প্রমাণ হয়ে গেল, তখন মহারাজের এক সভাসদ উঠে বক্তৃতা শুরু করলেল, ‘ধর্ম্মাবতার! অপরাধ গুরুতর বটে, তবে আমি বালকটির জন্য মহামান্য মহারাজের দয়া ভিক্ষা করছি। কারণ, বালকটি এখন পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ।’
… সঙ্গে সঙ্গে রাজসভার চারদিকে চাপা হাসি ও গুঞ্জন শুনে তিনি বেকুবের মত চারদিকে তাকাতে লাগলেন। কেন তিনি কি বেঁফাস কিছু বলছেন?
তখন গোপাল উঠে বলল, ‘ভেবে দেখুন, যে টাকার লোভে মা-বাবাকে হত্যা করতে পারে, সে তো পিতামাতার স্নেহের ঋণ উড়িয়ে দিয়ে তাদের পরিচয় মন থেকে আগেই মুছে ফেলেছে, তখন সে পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ হয়েছে বলা যায় কি করে? অতএব, ওই পশুকে মার্জ্জনা না করাই উচিত। মহারাজ তখন বললেন, গোপাল ঠিক কথাই বলেছে–এর অবশ্যই সাজা হওয়া উচিত।’